দোয়া হলো সবধরনের কল্যাণ, মঙ্গল ও বরকতের হাতিয়ার। আল্লাহ তায়ালা কোরআনের অনেক আয়াতে বান্দাকে দোয়া করার নির্দেশ দিয়েছেন। দোয়া মানে আল্লাহর কাছে কিছু
চাওয়া, প্রার্থনা করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে আমার বান্দারা, তোমরা আমাকে ডাকো।আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো’। (সূরা আল গাফের : ৬০)।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট কিছু চায় না, আল্লাহ তাআলা তার প্রতি অসন্তুষ্ট হন। ’ (তিরমিজি, খণ্ড: ৫, পৃষ্ঠা: ৪৫৬, হাদিস নম্বর: ৩৩৭৩)।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যার জন্য দোয়ার দ্বার খোলা হয়েছে (অর্থাৎ যার দোয়া করার তাওফিক হয়েছে), তার জন্য রহমতের দ্বার খোলা হয়েছে। আল্লাহর কাছে যেসব দোয়া চাওয়া হয়, তন্মধ্যে তাঁর কাছে সর্বাধিক পছন্দীয় হলো আফিয়াত; অর্থাৎ নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের জন্য দোয়া করা। ’ (জামে তিরমিজি, খণ্ড: ৫, পৃষ্ঠা: ৫৫২, হাদিস নম্বর: ৩৫৪৮)।
দোয়া কবুলের উত্তম সময়
বান্দাহর দোয়া সবসময় কবুল হয়। তবে কিছু কিছু বিশেষ মুহূর্ত আছে, সে সময়গুলোতে দোয়া বেশি বেশি কবুল হয়। যেমন- ১. আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া। ২. প্রতি ফরজ সালাতের পর এবং শেষ রাতের দোয়া। ৩. জুমার দিন আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত। ৪. ইফতারের সময় রোজাদার ব্যক্তির দোয়া। ৫. অজু করে ঘুমিয়েছে। এরপর জাগ্রত হয়ে ওই সময়ে দোয়া করা।